অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গতকাল যুক্ত করা হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যার মধ্যে রয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনা, আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচন, ভোটাধিকার হরণ, ব্যাংক লুট, গুম ও খুনের ঘটনা। এছাড়া, ইতিহাস থেকে রাজনৈতিক অতিকথন ও বন্দনা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।
এদিকে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অনেক ঘটনা এখন পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন শুরু হলে পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হয় এবং পুরানো শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ১৬ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছে, তবে এবার সেই ইতিহাসের যথাযথ উপস্থাপনা করা হয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, "মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান, তা এবার পাঠ্যবইয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে।"
নতুন পাঠ্যবইয়ে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস, ছাত্র-জনতার ওপর পতিত সরকারের বর্বরোচিত হামলা, ভোটাধিকার হরণ, গুম-খুনের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়গুলির অন্তর্ভুক্তি ছাত্র-জনতাকে সম্মান জানাবে এবং জনগণের কাছে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করবে।
ঢাকা শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, "এই শহীদদের বীরগাথা পাঠ্যবইয়ে স্থান পাবে, এবং যারা জীবিত আছেন, তাদের বক্তব্যও গল্প আকারে তুলে ধরা হবে।"
এছাড়া, গবেষকরা আগামী বছর পাঠ্যবইয়ে আরও সংশোধন আনার আহ্বান জানিয়েছেন।